Error loading page.
Try refreshing the page. If that doesn't work, there may be a network issue, and you can use our self test page to see what's preventing the page from loading.
Learn more about possible network issues or contact support for more help.

ধর্ম প্রতিষ্ঠায় অধর্ম কেন?

ebook
'কেউ যদি অন্যায়ভাবে কোন মানুষকে হত্যা করে, তাহলে সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল।'- আল কোরআন।ইসলামের নামে নিজেদের খাম-খেয়ালীপনা কিংবা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শ-বিরোধী পন্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না এবং তা কখনো গ্রহণযোগ্যও নয়।রাসূলের জীবনাদর্শের দিকে তাকালে আমরা দেখব, তিনি ইসলাম কায়েমের জন্য কোন নেতিবাচক পথ কিংবা চরমপন্থাকে গ্রহণ করেননি। এটা আল্লাহ'রই নির্দেশ ছিল যে, তিনি তাঁর নবীকে 'দারোগা' করে পাঠাননি।ইসলামী সমাজ কায়েমের ক্ষেত্রে জনমতটি ছিল সব সময়ই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। জনমতকে উপেক্ষা করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই। মক্কায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য অনুকূল জনমত ছিল না বলেই সেখানে তখন ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি এবং মদীনার জনমত ইসলামের পে অনুকুল ছিল বলেই সেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছিল - এ ইতিহাস তো অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু মক্কার লোকেরা মহানবীর দাওয়াতের বিরোধী ছিল -এ অজুহাতে তো তিনি কখনো তাদের বিরুদ্ধে চরমপন্থা, উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- পরিচালনা করেছিলেন বলে ইতিহাসে কোন প্রমাণ নেই।বরং আমরা দেখেছি, তায়েফের লোকেরা আলাহর রাসূলের দাওয়াতকে প্রত্যাক্ষাণ করে তাঁকে চরমভাবে অপমাণ ও শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছিল, তাঁর সারা শরীর যখন রক্তরঞ্জিত হয়েছিল এবং রাস্তার উপর যখন তিনি বেহুশ হয়ে পড়েছিলেন তখনও তিনি তাদের বিরুদ্ধে বদদোয়াটুকু পর্যন্ত করেননি। বরং পরম মমতায় তাদের হেদায়েতের জন্য তিনি আলাহর দরবারে দু হাত তুলে দোয়া করেছেন, তাদের কল্যাণ কামনা করেছেন।আসলে ইসলাম তো শান্তির ধর্ম। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামের আগমন এবং মহানবীর মিশনের চূড়ান্ত লক্ষও ছিল এটি - সারা বিশ্বের মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা বা মানবতার কল্যাণ। তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বজাহানের জন্য আল্লাহ'র রহমত। আল কোরআনে বলা হয়েছে : 'আমরা তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য আমার রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি।"-[আল আম্বিয়া : ১০৭] ।ইসলাম তো এসেছে পৃথিবীতে একটি স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি করার জন্য। আল্লাহ'র নবী যে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে সমাজ তো ছিল সাম্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের সমাজ, সে সমাজ ছিল হক ও ইনসাফ-ভিত্তিক সমাজ। মানুষের মধ্যে প্রেম, ভালোবাসা, সৌজন্যবোধ ও স্বর্গীয় বোধগুলোকে জীবন্ত করে তোলাই ছিল তাঁর জীবনাদর্শ। মানবীয় মাহাত্ম ও নৈতিক চরিত্রের পূর্ণ বিকাশ সাধনের জন্যই তো তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি তো এসেছিলেন মানুষকে ইনসানে কামেলে পরিণত করার জন্য।আর মানুষের প্রতি দয়া-মায়া ও মানুষের কল্যাণ কামনা তো একজন মহৎ মানুষের প্রধান গুণ। সুশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তো কেবল মানুষের বিবেকবোধের লালনের মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে।কেননা, ভালোবাসাই ভালোবাসার জন্ম দেয়, আর হিংসা কেবল হিংসারই জন্ম দিয়ে থাকে। পৈশাচিকতার মাধ্যমে মানবতার ও সত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, বরং এর মাধ্যমে সত্যের শুভ্র সফেদ মুখকে কলংকিত করা হয়।আর এ কারণেই তো মহানবী (সঃ) ও তাঁর সাহাবীদের (সাথীদের) প্রতি মহান রাব্বুল আ'লামীনের নির্দেশ ছিল সত্যের সাক্ষী হওয়ার, আদর্শেরমডেল হওয়ার।আল্লাহ বলেছেন- 'আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতি বানিয়েছি, যেন তোমরা মানুষের জন্য সাক্ষী হও আর রাসূলও যেন তোমাদের জন্য সাক্ষী হয়।'আর ইতিহাসও সাক্ষী দেয়, মহানবী ছিলেন মানব জাতির সামনে আদর্শের মূর্ত প্রতীক। তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের জীবন্ত নমুনা। আর মহানবীর পবিত্র পরশে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে মহানবীর সাহাবীগণও হয়ে উঠেছিলেন মানবতার মহান আদর্শ।

Formats

  • OverDrive Read
  • EPUB ebook

Languages

  • Bengali